বয়স ৪০, এখন কি আর নতুন করে কিছু চিন্তা করা যায়? নয়টা-পাঁচটা চাকরি আর সংসারের ঘানি টানতে টানতে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য যেন আর কোনো মানসিক শক্তি অবশিষ্ট নেই। এখন জীবন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলুক। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। কিন্তু আমরা কি নিজেরাই আমাদের ধারণার জেলখানায় বন্দি হয়ে আছি?
কার্ল ইয়ুং, বিশ্ব বিখ্যাত মনোবিদ সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছেন।
কার্ল ইয়ুং এর মতে, ৪০-এর আগের জীবনটা হলো প্রস্তুতির সময়। এই সময়ে আমরা সমাজের নিয়ম-কানুন মেনে চলি, ক্যারিয়ার গড়ে তুলি, পরিবার নিয়ে ভাবি, আর জীবন সম্পর্কে নানা রকম শিক্ষা নেই। কিন্তু পুরো সময়টা আসলে নিজের প্রকৃত স্বরূপ খোঁজার জন্য এক ধরনের গবেষণা বা অনুসন্ধান।
ইয়ুং এর মনোবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো “Individuation” বা স্বতন্ত্রতা অর্জনের প্রক্রিয়া। তার মতে, মানুষের জীবন ৪০-এর পর থেকে ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেতে শুরু করে। এই সময়ে মানুষ নিজের আত্মাকে ভালোভাবে বুঝতে শেখে এবং তার ভেতরের সত্যিকারের সত্তার সাথে সংযোগ গড়ে তোলে।
দেখুন, আপনি হয়তো ৬০ বা ৮০ বছর বাঁচতে পারেন। এখন এই ৪০-৪৫ বছর বয়সে আপনার এক-দুই বছরের উদ্যোগ হয়তো বাকি ২০-৩০ বছর আপনাকে জীবনের নিয়ন্ত্রক করে তুলতে পারে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে পারে। এর বিপরীতে জীবন যেভাবে চলছে, সেভাবেই টেনে-হেঁচড়ে চালিয়ে যেতে পারেন। এরপর ৬০ বছর বয়সে এসেও হয়তো কাউকে “স্যার স্যার” বলে পেছনে ছুটতে হবে যাতে আপনার মাসের খরচটা উঠে আসে। এখন চয়েস আপনার। আপনি আসলে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? কোন উদ্যোগ নিতে চান কিনা?
বিল গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী: AI-র যুগে মানুষের দরকার ফুরিয়ে যাবে?
১০ বছরের মধ্যে AI অনেক ডাক্তার ও শিক্ষকের কাজ করে ফেলবে”—এমনটাই বলছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। মানুষের কাজ কি তাহলে ফুরিয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন গেটসের ভবিষ্যদ্বাণী ও এর পেছনের যুক্তিগুলো এক সহজ ভাষায়।